Chittagong University Rd, Chittagong 4331, Bangladesh
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় is a Public university located at Chittagong University Rd, Chittagong 4331, Bangladesh. It has received 2672 reviews with an average rating of 4.6 stars.
Monday | 8:30AM-3:30PM |
---|---|
Tuesday | 8:30AM-3:30PM |
Wednesday | Closed |
Thursday | Closed |
Friday | 8:30AM-3:30PM |
Saturday | 8:30AM-3:30PM |
Sunday | 8:30AM-3:30PM |
The address of চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: Chittagong University Rd, Chittagong 4331, Bangladesh
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় has 4.6 stars from 2672 reviews
Public university
"চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু ক্ষণজন্মা মানুষের বহু আত্মত্যাগ ও কষ্টার্জিত ইতিহাস। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটা ছিল, চাওয়া পাওয়ার একটি সোনার হরিণ। আজকের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বা উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন না এর পেছনে কত শ্রম, মেধা, ত্যাগ ও চেষ্টা সাধনা কাজ করেছে। ১৯৮৯ সালে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯তম ব্যাচ) সমাপনী উৎসবের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন কালে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অনুরনন’ এ এতদসংক্রান্ত একটি তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপনের উদ্যোগ নিই। আজ এখানে এর কিছু তথ্য তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছি। কোন এক মনীষি বলে গেছেন ‘‘ঞযড়ংব যিড় সধশব যরংঃড়ৎু ফড় হড়ঃ ৎিরঃব যরংঃড়ৎু” অর্থাৎ যাঁরা ইতিহাস সৃষ্টি করেন তাঁরা নিজের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে যান না। হাটহাজারী এলাকার সন্তান ও উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্য ইতিহাস এ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার একটি নৈতিক দায়বদ্ধতা আমি দীর্ঘদিন থেকে অনুভব করছি। এর জন্য যেমন মানসিক পরিপক্কতার প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সমকালের জীবিত প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন শেষ করার দীর্ঘ দুই যুগ পর আজ সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্বের এক ক্রান্তিকালে বিগত শতাব্দির ষাটের দশকের দুয়েকজন সমকালীন ছাত্রনেতা যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দেখা-অদেখা অনেক কিছুর নিরব সাক্ষী তাদের নৈতিক সমর্থনে আমার এই প্রয়াস। ইতিহাসের চলার বাঁকে ক্ষণজন্মা পুরুষদের আবির্ভাব এবং অকুতোভয় নেতৃত্ব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায় সোনালী ভবিষ্যতে। মওলানা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মূলতঃ চট্টগ্রাম এ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম ‘স্বপ্নদ্রষ্টা’ বললে মনে হয় এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। তিনি ত্রিশ চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি সময়ে দেয়াং পাহাড়ে একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে একটি জায়গাও দান করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এটি ধামাচাপা পড়লেও ষাট দশকের প্রারম্ভে যখন পুনঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম শুরু হয় তখন এটা দেয়াং পাহাড়ে স্থাপনের দাবিও উঠেছিল। অপর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান (১৯২৭-৫৪) ও পাকিস্তান গণ-পরিষদ সদস্য (১৯৪৭-৫৪) জনাব নুর আহমদ তথা নুর আহমদ চেয়ারম্যান নামে খ্যাত অবিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য (১৯৩৭-৪৬) থাকাকালে আইন পরিষদে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিলেন। পাকিস্তান আমলে অবশ্য মাঝে মধ্যে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উঠলেও মূলত তা চট্টগ্রাম বিভাগের যে কোন জিলায় স্থাপনের দাবিও চিন্তাভিত্তিক ছিল। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর পাকিস্তানে সামরিক শাসন প্রবর্তন করে ২৭শে অক্টোবর সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান (বগুড়ার মোহাম্মদ আলী মন্ত্রীসভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী- ২৫শে অক্টোবর’৫৪-১৮ই আগষ্ট’৫৫)। প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক আই,জি,পি জাকির হোসেনকে (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) গভর্নর নিয়োগ করেন। জাকির হোসেন গভর্নর হওয়ার পর (১৯৫৮-৬০) চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত জননেতা আলহাজ্ব এ,কে,এম ফজলুল কাদের চৌধুরীকে তাঁর প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন এবং একই সাথে একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করেন। এতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবদুর রহমান মিঞা (অবসর প্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক), শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী বাদশা মিঞা চৌধুরী টি,কে এবং ও,আর, নিজাম (চট্টগ্রাম পৌরসভার এককালীন ভাইস চেয়ারম্যান ১৯৫৮-৬৫) প্রমুখ সদস্য ছিলেন। এই সময় তৈরী হচ্ছিল দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী ও জাকির হোসেনের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হয় (অবশ্য কোন জিলায় তা স্থাপিত হবে তার কোন নির্দিষ্ট বক্তব্য ছিলনা)। ১৯৬০ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নেতৃবর্গ, সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগীরা ফজলুল কাদের চৌধুরীর পাহাড়শীর্ষস্থ ভবনে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রামে স্থাপনে তাঁর (জনাব চৌধুরীর) বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই বৈঠকে শেখ রফি উদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক এ,বি,এম সুলতানুল আলম চৌধুরী (সাবেক এম পি এ ১৯৫৪-৫৮), কবি আবদুস ছালাম (সম্পাদক, অধুনালুপ্ত দৈনিক পূর্ব পাকিস্তান), সুলতান আহমদ ( সাবেক মন্ত্রী, অধুনালুপ্ত পূর্ব পাকিস্তান ১৯৬৪-৬৯), বাদশা মিঞা চৌধুরী টি,কে, ও,আর,নিজাম, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ বক্তেয়ার মিঞা, অধ্যক্ষ এ,এ রেজাউল করিম চৌধুরী, অধ্যাপক আহমদ হোসেন, এডভোকেট সুলতান আহমদ (সাবেক এম"
"বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসিরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[২] ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন।[৫] একই বছর, ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[২] চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নিবাসির উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[২] প্রশাসনিক ভবন ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর, ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ"
"চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় English চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ১৭৫৩"
"বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসিরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[২] ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন।[৫] একই বছর, ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[২] চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নিবাসির উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[২] প্রশাসনিক ভবন ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর, ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ"
"চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ১৭৫৩"
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু ক্ষণজন্মা মানুষের বহু আত্মত্যাগ ও কষ্টার্জিত ইতিহাস। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটা ছিল, চাওয়া পাওয়ার একটি সোনার হরিণ। আজকের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বা উত্তর হয়তো অনেকেই জানেন না এর পেছনে কত শ্রম, মেধা, ত্যাগ ও চেষ্টা সাধনা কাজ করেছে। ১৯৮৯ সালে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (১৯তম ব্যাচ) সমাপনী উৎসবের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন কালে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অনুরনন’ এ এতদসংক্রান্ত একটি তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপনের উদ্যোগ নিই। আজ এখানে এর কিছু তথ্য তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছি। কোন এক মনীষি বলে গেছেন ‘‘ঞযড়ংব যিড় সধশব যরংঃড়ৎু ফড় হড়ঃ ৎিরঃব যরংঃড়ৎু” অর্থাৎ যাঁরা ইতিহাস সৃষ্টি করেন তাঁরা নিজের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে যান না। হাটহাজারী এলাকার সন্তান ও উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্য ইতিহাস এ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার একটি নৈতিক দায়বদ্ধতা আমি দীর্ঘদিন থেকে অনুভব করছি। এর জন্য যেমন মানসিক পরিপক্কতার প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সমকালের জীবিত প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন শেষ করার দীর্ঘ দুই যুগ পর আজ সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্বের এক ক্রান্তিকালে বিগত শতাব্দির ষাটের দশকের দুয়েকজন সমকালীন ছাত্রনেতা যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দেখা-অদেখা অনেক কিছুর নিরব সাক্ষী তাদের নৈতিক সমর্থনে আমার এই প্রয়াস। ইতিহাসের চলার বাঁকে ক্ষণজন্মা পুরুষদের আবির্ভাব এবং অকুতোভয় নেতৃত্ব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায় সোনালী ভবিষ্যতে। মওলানা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মূলতঃ চট্টগ্রাম এ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম ‘স্বপ্নদ্রষ্টা’ বললে মনে হয় এতটুকু অত্যুক্তি হবে না। তিনি ত্রিশ চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি সময়ে দেয়াং পাহাড়ে একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে একটি জায়গাও দান করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এটি ধামাচাপা পড়লেও ষাট দশকের প্রারম্ভে যখন পুনঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম শুরু হয় তখন এটা দেয়াং পাহাড়ে স্থাপনের দাবিও উঠেছিল। অপর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রামের তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান (১৯২৭-৫৪) ও পাকিস্তান গণ-পরিষদ সদস্য (১৯৪৭-৫৪) জনাব নুর আহমদ তথা নুর আহমদ চেয়ারম্যান নামে খ্যাত অবিভক্ত বাংলার আইন পরিষদের সদস্য (১৯৩৭-৪৬) থাকাকালে আইন পরিষদে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিলেন। পাকিস্তান আমলে অবশ্য মাঝে মধ্যে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উঠলেও মূলত তা চট্টগ্রাম বিভাগের যে কোন জিলায় স্থাপনের দাবিও চিন্তাভিত্তিক ছিল। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর পাকিস্তানে সামরিক শাসন প্রবর্তন করে ২৭শে অক্টোবর সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান (বগুড়ার মোহাম্মদ আলী মন্ত্রীসভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী- ২৫শে অক্টোবর’৫৪-১৮ই আগষ্ট’৫৫)। প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক আই,জি,পি জাকির হোসেনকে (রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম) গভর্নর নিয়োগ করেন। জাকির হোসেন গভর্নর হওয়ার পর (১৯৫৮-৬০) চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত জননেতা আলহাজ্ব এ,কে,এম ফজলুল কাদের চৌধুরীকে তাঁর প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন এবং একই সাথে একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করেন। এতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবদুর রহমান মিঞা (অবসর প্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক), শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী বাদশা মিঞা চৌধুরী টি,কে এবং ও,আর, নিজাম (চট্টগ্রাম পৌরসভার এককালীন ভাইস চেয়ারম্যান ১৯৫৮-৬৫) প্রমুখ সদস্য ছিলেন। এই সময় তৈরী হচ্ছিল দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী ও জাকির হোসেনের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হয় (অবশ্য কোন জিলায় তা স্থাপিত হবে তার কোন নির্দিষ্ট বক্তব্য ছিলনা)। ১৯৬০ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নেতৃবর্গ, সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগীরা ফজলুল কাদের চৌধুরীর পাহাড়শীর্ষস্থ ভবনে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রামে স্থাপনে তাঁর (জনাব চৌধুরীর) বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই বৈঠকে শেখ রফি উদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক এ,বি,এম সুলতানুল আলম চৌধুরী (সাবেক এম পি এ ১৯৫৪-৫৮), কবি আবদুস ছালাম (সম্পাদক, অধুনালুপ্ত দৈনিক পূর্ব পাকিস্তান), সুলতান আহমদ ( সাবেক মন্ত্রী, অধুনালুপ্ত পূর্ব পাকিস্তান ১৯৬৪-৬৯), বাদশা মিঞা চৌধুরী টি,কে, ও,আর,নিজাম, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ বক্তেয়ার মিঞা, অধ্যক্ষ এ,এ রেজাউল করিম চৌধুরী, অধ্যাপক আহমদ হোসেন, এডভোকেট সুলতান আহমদ (সাবেক এম.এন.এ ১৯৬৫-৬৯), এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (সাবেক এম.এন.এ ১৯৬৫-৬৯), আলহাজ্ব এম,এ জলিল (সাবেক এম.পি.এ ১৯৬২-৬৫), আলহাজ্ব ইসলাম মিঞা (সাবেক এম. পি. এ ১৯৬২-৬৫), ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন আহমদ সিদ্দিকী, এম,বদরুল ইসলাম খান চৌধুরী প্রমুখ ছাড়াও ছাত
বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসিরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[২] ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন।[৫] একই বছর, ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[২] চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নিবাসির উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[২] প্রশাসনিক ভবন ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর, ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।[২] ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।[৭] ১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রাক্তন কিউরেটর ড. আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প-পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩নং সড়কের ‘কাকাসান’ নামের একটি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের অফিস স্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় English চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ১৭৫৩.৮৮ একর পাহাড়ি ভূমিতে অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ বিশ শতকের প্রথম থেকেই চট্টগ্রামের বিদ্বৎসমাজ স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করছিল। ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী চট্টগ্রামে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন এবং এ লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াং পাহাড়ে ভূমিও ক্রয় করেন। ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে পূর্ব-পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের বিদ্ব্যৎ সমাজের উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন। পরবর্তীকালে এই ধারায় ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এদিকে ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে পূর্ব-পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ড. কুদরাত-এ-খুদা, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ড. মফিজউদ্দীন আহমদ-কে সদস্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠন করা হয়। কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং এতৎসংক্রান্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ও বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়ামের প্রাক্তন কিউরেটর ড. আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রকল্প-পরিচালক’ নিযুক্ত করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩নং সড়কের ‘কাকাসান’ নামের একটি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের অফিস স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক সরকারি প্রজ্ঞাপন বলে তৎকালীন পাকিস্তান শিক্ষা পরিদপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমস্ত কর্মকর্তাকর্মচারীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অফিসে বদলি করা হয়। স্থপতি মাজহারুল ইসলামের ‘বাস্তকলা’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে ১টি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, বিভাগীয় অফিস, শ্রেণিকক্ষ ও লাইব্রেরির জন্য একতলা ভবন তৈরি করা হয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়। চ
বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসিরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[২] ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন।[৫] একই বছর, ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[২] চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নিবাসির উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[২] প্রশাসনিক ভবন ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর, ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।[২] ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।[৭]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ১৭৫৩.৮৮ একর পাহাড়ি ভূমিতে অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। বিশ শতকের প্রথম থেকেই চট্টগ্রামের বিদ্বৎসমাজ স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করছিল। ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী চট্টগ্রামে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন এবং এ লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াং পাহাড়ে ভূমিও ক্রয় করেন। ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন। পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে পূর্ব-পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের বিদ্ব্যৎ সমাজের উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন। পরবর্তীকালে এই ধারায় ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়। এদিকে ১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে পূর্ব-পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ড. কুদরাত-এ-খুদা, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ড. মফিজউদ্দীন আহমদ-কে সদস্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠন করা হয়। কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপূর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং এতৎসংক্রান্ত চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো অন্যান্য নাম চবিধরনসরকারি, সহ-শিক্ষাস্থাপিত১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনআচার্যরাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদউপাচার্যশিরীণ আখতারউপ-উপাচার্যশিরীণ আখতার শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ ৮৭২[১] প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ৩১১ (পুরুষ ২৭৭, নারী ৩৪)শিক্ষার্থী২৭,৮৩৯ (ছাত্র ১৫,৫৯৮, ছাত্রী ৯,১৭৯)[১]ঠিকানা ফতেহপুর, হাটহাজারী , চট্টগ্রাম , ৪৩৩১[১] , বাংলাদেশ ২২.৪৭১০০২১° উত্তর ৯১.৭৮৮৪৬৯৩° পূর্বশিক্ষাঙ্গন২,১০০ একর (৮৫০ হেক্টর)ভাষাবহুভাষিকওয়েবসাইটcu.ac.bd উইকিমিডিয়া | © ওপেনস্ট্রিটম্যাপ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এখানে রয়েছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী অর্ন্তভূক্ত রয়েছেন। ২০২০ সালের হিসেবে, দেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৯ম এবং বৈশ্বিক অবস্থান ৩১০১ তম।[২]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি ) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৫০০ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এখানে রয়েছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী অর্ন্তভূক্ত রয়েছেন। ২০২০ সালের হিসেবে, দেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৯ম এবং বৈশ্বিক অবস্থান ৩১০১ তম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এখানে রয়েছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী অর্ন্তভূক্ত রয়েছেন। ২০২০ সালের হিসেবে, দেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৯ম এবং বৈশ্বিক অবস্থান ৩১০১ তম।
♥চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ♣ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিইউ সিইও) হাটহাজারী উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ একটি পাবলিক, বহুমুখী, গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি 1966 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [2] এটি বাংলাদেশে ক্যাম্পাস এলাকার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি, [3] এবং প্রায় 22,000 শিক্ষার্থী এবং 750 জন ফ্যাকাল্টি সদস্য রয়েছে। [4] 1970 সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল কাদির চৌধুরী চট্টগ্রামের 3 ডিসেম্বর 1965 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। [5] বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা মেটানোর জন্য তিনি প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। [3] 1966 সালের 18 নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি বিভাগে 200 জন শিক্ষার্থীর জন্য আর্টস প্রোগ্রামের মাস্টারসহ চালু হয়। মেডিসিন বিভাগ, প্রকৌশল, আইন ও শিক্ষা বিভাগগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কলেজে পৃথক বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [6] ক্যাম্পাস সম্পাদনা আবাসিক হলের সম্পাদনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে 12 টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে 7 টি ছেলেমেয়ে রয়েছে এবং 3 টি মেয়েলি হল রয়েছে দুটি নির্মাণাধীন। [1] [3]
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। শিক্ষার কথা বাদ দিলে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এটি অদ্বিতীয়। এ সৌন্দর্যের তুলনা নেই। নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পাহাড়ের উপরে স্থাপিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় চারদিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়। পাহাড় কেটে কেটে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তা যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। দুইপাশে সগর্বে দাঁড়িয়ে থাকা যমজ পাহাড়, মাঝখানে পাহাড়ের বুক চিরে চলে গেছে সরু রাস্তা। মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই বটে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এবং আকর্ষণ শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে শাটল ট্রেন ব্যবস্থাটি। একমাত্র চট্টগাম ছাড়া দেশের আর কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা নেই। এ শাটল ট্রেনের আড্ডা কিংবদন্তির পর্যায়ে চলে গেছে। সুযোগ হলে শাটল ট্রেনে চড়ে বিরল অভিজ্ঞতা অর্জন করা যেতে পারে। অবশ্য অছাত্রদের জন্য শাটল ট্রেনে চড়ার বিধিসম্মত কোন ব্যবস্থা নেই!
আমার প্রিয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় ২১০০ একরে বিস্তৃত। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা করা হয়েছে পাহাড় কেটে। এখানে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য অনেকগুলো হল। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার শেষ নেই। আমার সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো শাটল ট্রেন। এই ট্রেন দিয়ে সহজেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অনেকগুলো প্রিয় বন্ধুরা আছে। এখানে বেশিরভাগ ছবিগুলো খুব সকাল বেলার তোলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটি অনুষদ থেকে আরেকটি অনুষদের দূরত্ব অনেক। বিশ্ববিদ্যালয় ভিতরে কিন্তু রিক্সাভাড়া খুবই কম। চাইলে আপনি রিক্সা দিয়ে ঘুরতে পারবেন খুবই স্বল্প খরচে। তার চেয়ে ভালো হবে যদি একটা সাইকেল পাওয়া যায়। আমার আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো সময় কেটে ছিল। খুব সম্ভবত আমার বন্ধু আমাকে মেয়েদের ঝুপড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়াই ছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাংালী জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এখানে রয়েছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ীএবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী অর্ন্তভূক্ত রয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙ্কিং ৪৬৮২ তম।
☘️️️️ বাংলাদেশের সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ( চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৫০০ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন। ধন্যবাদ!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গত আগস্ট, ২০১৮ পর্যন্ত এর আয়তন ছিলো ১,৭৫৩ একর। ঐ মাসেই এর মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে আরো প্রায় ৩৫০ একর জমি। তাতে এর বর্তমান আয়তন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,১০০ একরের চেয়ে কিছু বেশি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে কয়েকটি কারণে অন্য যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা তাহলো এর পাহাড়ে ঘেরা ক্যাম্পাস, শাটল ট্রেন নির্ভর যাতায়াত ব্যবস্থা, ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ে বসবাস করা বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণি, প্রাকৃতিক ঝর্ণা ও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আয়তনে সর্ববৃহৎ ইত্যাদি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। গত আগস্ট, ২০১৮ পর্যন্ত এর আয়তন ছিলো ১,৭৫৩ একর। ঐ মাসেই এর মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে আরো প্রায় ৩৫০ একর জমি। তাতে এর বর্তমান আয়তন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,১০০ একরের চেয়ে কিছু বেশি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে কয়েকটি কারণে অন্য যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা তাহলো এর পাহাড়ে ঘেরা ক্যাম্পাস, শাটল ট্রেন নির্ভর যাতায়াত ব্যবস্থা, ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ে বসবাস করা বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণি, প্রাকৃতিক ঝর্ণা
Its the worst varsity in Bangladesh & the World. অনিয়মে জর্জরিত একটা বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়, জঙ্গল ছাড়া এখানে আর কিছুই নাই, দেখার মতো। একটা ফ্যাকাল্টি থেকে অন্য ফ্যাকাল্টি অনেক দূর, কোনো স্বেচ্ছাসেবক নেই। এখানে কিছু সুন্দর ছবি দেয়া হয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল অবস্থা, পাহাড়, জঙ্গল দেখলে কারো রুচি হবে না সেখানে পরীক্ষা দিতে বা ভর্তি হতে। এতোটাই বাজে। Zero Point থেকে মেইন রোডে যাইতে ১ঘন্টার দূরত্ব। Transportation বাজে। যদি এখানে কোনো স্টার না দেওয়ার সুযোগ থাকতো, তাহলে তাই দিতাম।
প্রাণের ক্যাম্পাস। জীবন আমার সার্থক এই ক্যাম্পাসে এই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়ায়। কী নেই এই ক্যাম্পাসে। পাহার, ঝর্না, গুহা, গিরিপথ, চেরী ব্লোসম(পিকচার দিয়ে দিবো) সব পাবেন এখানে। বিশেষ করে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ঐদিকে এখন তো কাপলদের মেলা বসেছে আফসোস এত কিছুর পরেও এই ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়া লাগবে নিয়তি বড়ই কঠিন! এখানে কিছু ছবি রেখে গেলাম সৃতি হিসেবে!নেক্সট রিভিউ গুলো হয়তো দেখবেন ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন সিটি নিয়ে! Inshallah
চট্রগ্রামের প্রধান সরকারী ইউনিভার্সিটি এইটি। অসাধারণ পরিবেশের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশাল ক্যাম্পাস এবং বিভাগীয় ভাবে হল গঠিত। ভালো ছাত্রছাত্রীদের সকল পরিবেশনা এবং আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। উন্নত মানের যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে এবং দ্রুত ট্রেন যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য তাছাড়া শিক্ষক মন্ডলী এবং সিনিয়র বিভাগীয় ছাত্রছাত্রী বা আলাদা ভাবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাসের ব্যাবস্থা - সরকারী ভাবে সুবিধাদি প্রচুর।
চট্টগ্রামেঅবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিচারে শ্রেষ্ঠ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৫০০ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৫০০ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন
সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। শহরের কোলাহল আর যান্ত্রিকতা থেকে দূরে অবস্থিত এ ক্যাম্পাস যেন প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠা এক অপরূপ ও অনন্য নৈস্বর্গ। ... ঝুলন্ত সেতু,ঝর্ণাধারা, উদ্ভিদ উদ্যান, জাদুঘর, রহস্যময় চালন্দা গিরিপথ কিংবা সুবিশাল মাঠ কি নেই চবি ক্যাম্পাসে!
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় এটি৷ এখানকার জায়গা গুলি অনেক সুন্দর। অনেক মনোরম পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সাটল ট্রেন আর বড় বড় পাহাড় বিদ্যমান। ঘুরার মতো সুন্দর জায়গা। মানুষ গুলি ও আময়িক৷ হল গুলি অনেক বড় আর রিক্রা ভাড়া লিমিটেড। ঘুরার জন্য বেস্ট জায়গা, তাই চাইলে ঘুরতে পারেন।
এটি বাংলাদেশের স্বায়ত্বশাসিত 4টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি। 18ই নভেম্বর, 1966 সালে প্রতিষ্ঠিত। পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এর অপার সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শিক্ষক সংখ্যা প্রায় 1000। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় 28000।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে কাটিয়েছি জীবনের তারুণ্য। অর্ধযুগের ও বেশি সময় যেখানে ছিলাম। সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না। শত অভিযোগ, অভিমান।তবু ও এই প্রাণের স্পন্দনের প্রতিটা রাস্তা, প্রতিটা পথ, গাছপালা আর সৌন্দর্য আমাকে আমন্ত্রণ করে বার বার। … আরও
রিকশা দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টা ঘুরে ঘুরে দেখবেন। আমাদের ভাড়া লেগেছিলো ১৮০ টাকার মতো যতদূর মনে পড়ে। আরও ভালো হয় একদিন সময় নিয়ে নিজের মতো করে ঘুরতে পারলে। সুন্দর ক্যাম্পাস। বিশেষত যারা প্রকৃতি পছন্দ করেন তাদের একটু বেশীই ভালো লাগবে।
ভাষায় প্রকাশ করা যায়না এত সুন্দর ছিল ঐ দিন গুলি যখন এখানে পড়েছি। শেষ বছরে শাহজালাল হলের ৪১৫ নাম্বার রুমে ছিলাম। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভুলবনা।সাইন্স ফেকাল্টি, শহিদ মিনার চত্বর ইত্যাদি, ইত্যাদি। ফেলে এসেছি আজ থেকে ৩৫ বছর আগে।
প্রকৃতিরর শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো এই বিদ্যাপীঠ। এইখানে পাখির কলতান পাহাড়ি গাছ মেঘের হাতছানি সব যেন এককাতারে হয়ে আছে।। ভালো লাগার এক স্বপ্নিল অনূভুতি কাজ করে প্রত্যক ছাত্রছাত্রী দের মাঝে।।। অসাধারন।।
I loved this varsity..varsity ta jemon shundor..temon e niribili Poribesh... Ghurar moto place onk.1dine full varsity ghure Dekha possible nh...train diye varsity ghure dekhte parben.
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং স্থাপত্যকলার মিশেলে অসাধারণ সৌন্দর্যের আধার চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়, বন, খালের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি এক অপরুপ রুপের মিশেল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (University of Chittagong) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। … আরও
আঁকাবাঁকা পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর ক্যাম্পাস গুলোর মাঝে বেশ দুরত্ব রয়েছে। আর রয়েছে ডানে বামে পাহাড়।
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় এটি। প্রথম সমস্যা হবে আপনি ঘুরতে ঘুরতে পাগল হয়ে যাবেন। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য আর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে❤️
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়।(ইউ জি সি এর তথ্যমতে)বর্তমানে দেশের এক নাম্বার র্যাঙ্ককিংয়ে রয়েছে বিশ্বিদ্যালয়টি।।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের এক নম্বর প্রকৃতিক সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। যেদিকেই থাকানো যায় না কেন সবুজে সমারোহ। খুব সুন্দর তার ক্যামপাস।
আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম জায়গা আমার ক্যাম্পাস! আমার স্বর্গ! আমার নিজস্ব জগৎ!! ক্যাম্পাসের প্রতিটা জায়গা এক একটা ভলোবাসা!!!❤️❤️❤️
প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। দর্শনার্থীদের জন্য অসাধারণ একটি স্থান। যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
দেশের স্বনামধন্য এক ভার্সিটি।এতে পড়ার স্বপ্ন অনেকের থাকলেও যার কপালে এই মধু থাকে একমাত্র সেই খেতে পারে মানে পড়তে পারে …
Vlo University..University bitore khub sundor...emon sundor University Bangladeshe nai..but onek gathering place. Jam thake
এইখানে এলে মনে হয় তুমি সবচেয়ে বেশি নেই। তোমাকে ক্ষণিক পাবার জন্য, এখানেই তবু আসি, মুগ্ধ পরান যতদূর চায় ততদূর ভালোবাসি।
আমার পছন্দের একটি ক্যাম্পাস। সর্বদা ভালোই কাটলো ছোট বোনের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের খ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে সাথে এসে। …
অামার বিশ্ববিদ্যালয়, মনে সেই স্মৃতি গুলো, সেন্ট্রাল ফিল্ডের পাশদিয়ে হেটে চলা, টেবিল টেবিল টেনিস খেলা, তাস খেলার হাতেখড়ি,
নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পড়াশোনার মানের দিক থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশর অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়াটি অনেক বড়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টি একদিনে ঘুরে দেখা মুশকিল। অনেক ছিম-ছাম আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
অনন্যসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সবুজ আর পাহাড়ে ঘেরা এই ক্যাম্পাস সত্যিই ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে অতুলনীয়।
পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স ব্যতীত সবকিছুই খুব ভালো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আমার বিশ্ববিদ্যালয়। ভালোবাসা রইল... …
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়তন প্রায় একুশ শত একর
Bhai 2 no gate hote Chittagong university vitor porjonto cng vara koto porbe admission porikhatti ami
অনেক সুন্দর ক্যাম্পাস, নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে তবে প্রেম করার আদর্শ স্থানও বলা যেতে পারে ☺☺
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে সাজানো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে স্বপ্ন গুলো সত্যি হয় …
বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়।। কিন্তু খাবার ও নেটওয়ার্ক খুব প্যারা দেয়।
কোন এক সময় আমার দেখা স্বপ্ন গুলো ঐ আকাশের চেয়েও রঙ্গিন ছিলো …
eta shob cheye shondur University ,, bangladesh a etar cheye boro University r kotao nei
২১০০ একরের ভালোবাসা... ভালো থেকো সব সময়. শিক্ষা শান্তি প্রগতির প্রগাঢ় ভালোবাসা …
বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম পাহাড়ি পরিবেশে দেখে আমি সত্যই মুগ্ধ।
দেশের অন্যতম সুন্দর একটি বিদ্যাপিঠ। প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ সাজানো পুরো ক্যাম্পাস।
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়ার সুযোগ হয়েছে..
প্রকৃতি তার সব রুপ দিয়ে যেন সব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজিয়েছে।
এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ই নয়। খুব ভালো মানের পর্যটন কেন্দ্রের মত।
কি সুন্দর! সায়েন্স ফ্যাকাল্টি ভবন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ❤
বন পাহাড়ের মিলন মেলায়ই এই বিশব্বিদ্যালয়ের আসল পরিচয় বহন করে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আবাসিক হল হচ্ছে আলাওল হল।
পাহার,টিলা, সবুজের সমারোহের মাঝে অসাধারন ক্যাম্পাস।
হল এবং খাবারের মানভালো না,রাজনৈতিক সহিংসতা বেশি।
এটি হাটহাজারি থেকে খুব কাছে।খুব সুন্দর জায়গা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াটা খুব সুন্দর
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার।
বাংলাদেশের সব থেকে বড় ক্যাম্পাস
সবুজের বুকে এক টুকরো স্বর্ণ। ❤
এখানে পড়ি।না দিয়ে উপায় নাই।৫*
কি হইয়ুম আর দুঃখর হথা!
প্রাকৃতিক লীলাভূমি।
অসাধারণ জায়গা
স্বপ্ন …
মোঃ হাসান
চট্টগ্রাম
খুব ভালো
অসাধারণ
াবক
1432 reviews
Kaptai, Highway রাউজান পাহাড়তলী সড়ক, চট্টগ্রাম 4349, বাংলাদেশ
343 reviews
Chittagong University Museum, Chittagong University Rd, Chittagong, Bangladesh
34 reviews
Dr A.R.Mollik Bhaban,ড, Administrative Building, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।Chittagong University road, Chittagong, Bangladesh
28 reviews
9VJG+QH5, BSMR Maritime University Road, Bangladesh
4 reviews
শহীদ শেখ কামাল জিমনেসিয়াম,Shaheed Sheikh Kamal Gymnasium Chittagong University, Chittagong University Rd 2, Bangladesh
3 reviews
8RJJ+VF6, Ice Factory Rd, Chattogram, Bangladesh